ইন্টারনেট থেকে আয়ের বহু পথ রয়েছে এবং সেগুলি নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ
কিছুদিন ধরেই। ক্রমেই আরো বেশি মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন এই বিষয়ে। অনেকে একে
অর্থনৈতিক উন্নতির চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করছেন। ইন্টারনেট থেকে আয়ের ভাল
দিকগুলির পাশাপাশি আপনি যেন সমস্যার সম্মুখিন না হন সেবিষয়েও উল্লেখ
থাকা প্রয়োজন। ইন্টারনেট থেকে আয়ের সময় আপনি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন সেগুলি জেনে নিন।
ঠকবাজি থেকে সাবধান থাকুন: ইন্টারনেটে ঠকবাজের অভাব নেই। এখানে নিজের পরিচয় না জানিয়ে অন্যের কাছে টাকা নেয়া যায় সেকারনে কেউ ঠকালেও আপনার খুব বেশি করার থাকে না। বরং সাবধান থাকাই ভাল।
ইন্টারনেটে ঠকবাজি বিভিন্ন ধরনের হয়। পিটিসি সাইটে আপনাকে বলতে পারে প্রতিবার ক্লিক করে ২ থেকে ৫ ডলার ডলার পাবেন, মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করবেন। বাস্তবতা হচ্ছে পিটিসি সাইট চলে বিজ্ঞাপনের টাকায়। কেউ পিটিসি বিজ্ঞাপনের জন্য এত টাকা দেয় না। যদি ক্লিকপ্রতি ২ সেন্টের বেশি দেয়ার কথা বলে তাহলে ধরে নেবেন সেখানে সমস্যা আছে।
আপনি টাকা দিয়ে সদস্য হলে খুব সহজে আয়ের সুযোগ পাবেন, এটা আরেক ধরনের ঠকবাজি। ইন্টারনেটে কোন ধরনের আয়ের জন্যই সাধারনত টাকা দিয়ে সদস্য হতে হয় না। কিছু প্রতিস্ঠানে টাকা দিয়ে সদস্য হলে সহজে ডাটা এন্টির মত কাজ পাওয়া যায় একথা ঠিক, তাহলেও নিশ্চিত না হয়ে সেখানে সদস্য না হওয়াই ভাল। বরং বিনা টাকায় যেখানে কাজ পাওয়া যায় (কম টাকা হলেও) সেখানে কাজ করুন।
আপনি লটারীতে কয়েক লক্ষ ডলার বা পাউন্ড পেয়েছেন, নেয়ার জন্য যোগাযোগ করুন, এমন ইমেইল কি কখনো পেয়েছেন ? ইন্টারনেটে এটা সাধারন ঠকবাজি ব্যবসা। আপনাকে বলা হবে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে কিছু টাকা দিতে হবে। যা দেবেন সেটাই তাদের লাভ। কখনো এধরনের মেইলের উত্তর দেবেন না। আপনি যে লটারীতে অংশ নেননি তার পুরস্কার আপনি পেতে পারেন না। যেখানে সেখানে নিজের ইমেইল এড্রেস দেবেন না।
অর্থ লেনদেনে সাবধান থাকুন: ইন্টারনেটে যেভাবেই আয় করুন না কেন, আপনার ক্যাশ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বড়জোর ব্যাংকচেক পেতে পারেন।
কোন প্রতিস্ঠানে কাজ করার আগে খোজ নিন তারা কিভাবে টাকা দেয়। আপনার সেগুলি ব্যবহারের সুযোগ আছে কি-না। প্রায় সমস্ত প্রতিস্ঠানই পেপল ব্যবহার করে, আপনি বাংলাদেশ থেকে পেপল ব্যবহার করতে পারেন না। আপনার ব্যবহারের উপোযোগি কোন ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে সেখানে কাজ করবেন না (যদি টাকা পাওয়ার ইচ্ছে থাকে)।
অনেক সময়ই মানিবুকারস কিংবা পায়যা এর মত অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা ব্যবহার করতে হয়। বাংলাদেশে এদু'টি ব্যবহার করা যায়। এগুলি ব্যবহারের সময় একাউন্টে বেশি টাকা জমা রাখবেন না। একে অন্য একাউন্টে সরিয়ে রাখুন। আপনার একাউন্টের নাম এবং পাশওয়ার্ড যে কোন সময় চুরি হতে পারে, সে সমস্ত টাকা উঠিয়ে নিতে পারে। সব যায়গায় একই নাম-পাশওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। একেবারে সরল পাশওয়ার্ড (যেমন কারো নাম) ব্যবহার করবেন না। নিয়মিতভাবে পাশওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবধান থাকুনঃ ইন্টারনেটে আয়ের খোজ করতে বিভিন্ন ধরনের সাইটে যাওয়া প্রয়োজন হতে পারে। কোন সাইট ব্যবহারের সময় নিজেকে প্রশ্ন করুন, সেটা কি আপনার উপকার করছে না-কি অপকার করছে। অনেক সাইট ভিজিট করলে আপনার কম্পিউটারে স্পাইঅয়্যার থেকে শুরু করে নানা ধরনের ক্ষতিকর সফটঅয়্যার (ভাইরাস) ইনষ্টল হতে পারে। আপনার কম্পিউটারের তথ্য (পাশওয়ার্ডসহ) তাদের কাছে যেতে পারে এর মাধ্যমে। সাধারনত হ্যাকিং সাইট, পর্নোগ্রাফি ইত্যাদি সাইটে এধরনের সমস্যা বেশি হয়। এধরনের সাইট থেকে দুরে থাকতে চেষ্টা করুন।
ইন্টারনেটে আয়ের সাথে সময়ের সরাসরি সম্পর্ক। আয়ের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে যত সময় দেবেন আয় তত বেশি, অন্যদিকে সময় বেশি দেয়ার অর্থ আয় কমে যাওয়া। সরাসরি আপনার আয়ের পক্ষে কাজ দেয় এমন সাইটে যোগাযোগ করুন, যেখান থেকে দক্ষতা বাড়ানো যায়, পরামর্শ পাওয়া যায় এমন সাইটগুলির সদস্য হোন। কিছুদিনের মধ্যেই বেশকিছু সাইট পেয়ে যাবেন যেগুলির বাইরে সাধারনত যাওয়া প্রয়োজন হবে না।
ইন্টারনেটে আয়ের জন্য রীতিমত ধৈয্যের পরীক্ষা দিতে হয়। ভাল দিক হচ্ছে এতে সাফল্য নিশ্চিত। অভিজ্ঞতা যত বাড়বে, দক্ষতা যত বাড়বে আয় তারসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকবে। একই কথা ব্লগ-ওয়েব সাইটের ক্ষেত্রেও। যত দিন যাবে ব্লগের পরিচিতি তত বাড়বে, সাথে বাড়বে আয়।
থাকা প্রয়োজন। ইন্টারনেট থেকে আয়ের সময় আপনি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন সেগুলি জেনে নিন।
ঠকবাজি থেকে সাবধান থাকুন: ইন্টারনেটে ঠকবাজের অভাব নেই। এখানে নিজের পরিচয় না জানিয়ে অন্যের কাছে টাকা নেয়া যায় সেকারনে কেউ ঠকালেও আপনার খুব বেশি করার থাকে না। বরং সাবধান থাকাই ভাল।
ইন্টারনেটে ঠকবাজি বিভিন্ন ধরনের হয়। পিটিসি সাইটে আপনাকে বলতে পারে প্রতিবার ক্লিক করে ২ থেকে ৫ ডলার ডলার পাবেন, মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করবেন। বাস্তবতা হচ্ছে পিটিসি সাইট চলে বিজ্ঞাপনের টাকায়। কেউ পিটিসি বিজ্ঞাপনের জন্য এত টাকা দেয় না। যদি ক্লিকপ্রতি ২ সেন্টের বেশি দেয়ার কথা বলে তাহলে ধরে নেবেন সেখানে সমস্যা আছে।
আপনি টাকা দিয়ে সদস্য হলে খুব সহজে আয়ের সুযোগ পাবেন, এটা আরেক ধরনের ঠকবাজি। ইন্টারনেটে কোন ধরনের আয়ের জন্যই সাধারনত টাকা দিয়ে সদস্য হতে হয় না। কিছু প্রতিস্ঠানে টাকা দিয়ে সদস্য হলে সহজে ডাটা এন্টির মত কাজ পাওয়া যায় একথা ঠিক, তাহলেও নিশ্চিত না হয়ে সেখানে সদস্য না হওয়াই ভাল। বরং বিনা টাকায় যেখানে কাজ পাওয়া যায় (কম টাকা হলেও) সেখানে কাজ করুন।
আপনি লটারীতে কয়েক লক্ষ ডলার বা পাউন্ড পেয়েছেন, নেয়ার জন্য যোগাযোগ করুন, এমন ইমেইল কি কখনো পেয়েছেন ? ইন্টারনেটে এটা সাধারন ঠকবাজি ব্যবসা। আপনাকে বলা হবে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে কিছু টাকা দিতে হবে। যা দেবেন সেটাই তাদের লাভ। কখনো এধরনের মেইলের উত্তর দেবেন না। আপনি যে লটারীতে অংশ নেননি তার পুরস্কার আপনি পেতে পারেন না। যেখানে সেখানে নিজের ইমেইল এড্রেস দেবেন না।
অর্থ লেনদেনে সাবধান থাকুন: ইন্টারনেটে যেভাবেই আয় করুন না কেন, আপনার ক্যাশ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বড়জোর ব্যাংকচেক পেতে পারেন।
কোন প্রতিস্ঠানে কাজ করার আগে খোজ নিন তারা কিভাবে টাকা দেয়। আপনার সেগুলি ব্যবহারের সুযোগ আছে কি-না। প্রায় সমস্ত প্রতিস্ঠানই পেপল ব্যবহার করে, আপনি বাংলাদেশ থেকে পেপল ব্যবহার করতে পারেন না। আপনার ব্যবহারের উপোযোগি কোন ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে সেখানে কাজ করবেন না (যদি টাকা পাওয়ার ইচ্ছে থাকে)।
অনেক সময়ই মানিবুকারস কিংবা পায়যা এর মত অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা ব্যবহার করতে হয়। বাংলাদেশে এদু'টি ব্যবহার করা যায়। এগুলি ব্যবহারের সময় একাউন্টে বেশি টাকা জমা রাখবেন না। একে অন্য একাউন্টে সরিয়ে রাখুন। আপনার একাউন্টের নাম এবং পাশওয়ার্ড যে কোন সময় চুরি হতে পারে, সে সমস্ত টাকা উঠিয়ে নিতে পারে। সব যায়গায় একই নাম-পাশওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। একেবারে সরল পাশওয়ার্ড (যেমন কারো নাম) ব্যবহার করবেন না। নিয়মিতভাবে পাশওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবধান থাকুনঃ ইন্টারনেটে আয়ের খোজ করতে বিভিন্ন ধরনের সাইটে যাওয়া প্রয়োজন হতে পারে। কোন সাইট ব্যবহারের সময় নিজেকে প্রশ্ন করুন, সেটা কি আপনার উপকার করছে না-কি অপকার করছে। অনেক সাইট ভিজিট করলে আপনার কম্পিউটারে স্পাইঅয়্যার থেকে শুরু করে নানা ধরনের ক্ষতিকর সফটঅয়্যার (ভাইরাস) ইনষ্টল হতে পারে। আপনার কম্পিউটারের তথ্য (পাশওয়ার্ডসহ) তাদের কাছে যেতে পারে এর মাধ্যমে। সাধারনত হ্যাকিং সাইট, পর্নোগ্রাফি ইত্যাদি সাইটে এধরনের সমস্যা বেশি হয়। এধরনের সাইট থেকে দুরে থাকতে চেষ্টা করুন।
ইন্টারনেটে আয়ের সাথে সময়ের সরাসরি সম্পর্ক। আয়ের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে যত সময় দেবেন আয় তত বেশি, অন্যদিকে সময় বেশি দেয়ার অর্থ আয় কমে যাওয়া। সরাসরি আপনার আয়ের পক্ষে কাজ দেয় এমন সাইটে যোগাযোগ করুন, যেখান থেকে দক্ষতা বাড়ানো যায়, পরামর্শ পাওয়া যায় এমন সাইটগুলির সদস্য হোন। কিছুদিনের মধ্যেই বেশকিছু সাইট পেয়ে যাবেন যেগুলির বাইরে সাধারনত যাওয়া প্রয়োজন হবে না।
ইন্টারনেটে আয়ের জন্য রীতিমত ধৈয্যের পরীক্ষা দিতে হয়। ভাল দিক হচ্ছে এতে সাফল্য নিশ্চিত। অভিজ্ঞতা যত বাড়বে, দক্ষতা যত বাড়বে আয় তারসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকবে। একই কথা ব্লগ-ওয়েব সাইটের ক্ষেত্রেও। যত দিন যাবে ব্লগের পরিচিতি তত বাড়বে, সাথে বাড়বে আয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, উক্ত লেখনীটি পঠন করার পরে দয়া করে আপনার একটি মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করুন। আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে অবশ্যই আরো ভালো কিছু লেখার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। লেখনী/পোস্টে অনেক ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আশা করি উক্ত ভুল গুলোকে আপনি ক্ষমার চোখে দেখবেন। দয়া করে এমন কোন মন্তব্য করবেন না যাহা দ্বারা লেখকের মন আঘাতপ্রাপ্ত হয়।