আশা করি সবাই ভাল আছেন! কি নিয়ে আলোচনা করব নিশ্চয় বুঝতে বাকি নেই! যারা এই সম্পর্কে আপাদমস্তক জানেন তাদের না দেখাই ভাল! তো শুরু করা যাক । টিমভিউয়ার কি , কেন , কিভাবে ব্যবহার করবেন!
টিমভিউয়ার(Teamviewer) কিঃ  টিমভিউয়ার(Teamviewer) হল ইন্টারনেট বেইস একটি সফটওয়ার। যা দিয়ে আপনি পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে আরেক প্রান্তের থাকা আপনার অফিস কিংবা বন্ধুর কম্পিউটার সহজে পরিচালনা করতে পারবেন! যেমন আপনি আপনার কম্পিউটারের সামনে বসে করতে পারেন! অর্থাৎ এখন থেকে আপনি পৃথিবী যেখানে থাকুন না কেন আপনার ল্যাপটপ, কম্পিউটার আপনার কন্ট্রোলের মধ্যে থাকবে! সো নো চিন্তা ডু পুর্তি!
টিমভিউয়ার(Teamviewer) কেন ব্যবহার করবেনঃ  
  • অনলাইনে শিখার জন্যঃ বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ! আর এই যুগে আবিষ্কার হয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার অনেক আধুনিক প্রযুক্তি। আমাদের দেশ এখনো প্রযুক্তিতে অনেক পিছিয়ে! অন্যান দেশে ইন্টারনেট স্পীড জিবিপিএস আর আমাদের এখানে এখনো কেবিপিএস পাইতে অনেক কষ্ট হয়! আর ইন্টারনেটের যে দাম তাতে ইন্টারনেট কিনে ফকির হওয়া ছাড়া উপায় নাই! আচ্চা যাই হোক আমি আমার মুল আলোচনার বাইরে চলে যাচ্ছিলাম! ফিরে আসি আবার, এখন কথা হল টিমভিউয়ার ইউস করব কেন?? হ্যা ইউস করব এ জন্যই যে , আমরা বর্তমানে অনলাইন থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি বা শিখছি! অনেকে বলতে পারেন গুগল, ইউটিউব , ডেইলিমোশন এ সার্স দিলেই তো আর এত কাহিনি করার দরকার হয় না! হ্যা তা ঠিক কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা সামান্য একটা জিনিস এর জন্য প্রজেক্টটা সম্পন্ন করতে পারি না! এখন আপনি জানেন আপনার বড় ভাই/বোন/বন্ধু ঐ কাজটা পারে কিন্তু তারা তো আর সবসময় আপনার পাশে বসে থাকে না! তো এখন কি করবেন! একটূর জন্য কাজটা রেখে দিলে আমার মনে হয় না এটা আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ধরবেন অথবা শেষ করবেন! এই রকম আমার হয় যেটা পারি না চেষ্টা করতে করতে মাথা হ্যাং করলে আমি আর ধারে কাছে যায় না কয়েকদিন অথবা সপ্তাহ অথবা মাস! কিন্তু আমি যদি ঐ কাজটা কোন এক বড় ভাই বন্ধু দিয়ে করায় নিতাম তাহলে আমি পরবর্তী প্রজেক্ট এর জন্য কাজ করতে পারতাম এবং ঐ কাজটা ও শিখে ফেলতে পারতাম! আর এই কাজ টা করার জন্য বা বন্ধুকে দিয়ে শিখে নেয়ার জন্য টিমভিউয়ার এর বিকল্প নেই! এটা গেল কোন কিছু শিখার ক্ষেত্রে টিমভিউয়ার এর গুরুত্ব।
  • এক/একাধিক কম্পিউটার পরিচালনার জন্যঃ   মনে করেন আপনার এক/একাধিক পিসি আছে। কোন কারনে আপনি বাইরে যাবেন । আপনার পিসি এর মধ্যে কোন কিছু ডাউনলোড হচ্ছে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলে আর আপনাকে কাজে যেতে হবে না! মানে আপনার যেতে যেতে বন্ধুদের আড্ডা অথবা অফিস টাইম শেষ হয়ে যাবে। মানে পন্ডশ্রম! সেই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে টিমভিউয়ার এর গুরুত্ব বলে কহে শেষ করা যাবে না! এখন আপনার মনে আরেকটা প্রশ্ন জাগতে পারে আমি কি সারা দিন ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ নিয়ে গুরব নাকি! তা ঠিক আর চাইলে ও তা সম্ভব না! না আপনাকে সারাদিন এই বোজা নিয়ে ঘুরতে হবে না! আমরা সবাই মোটামুটি একটা স্মার্টফোন ইউস করি! এখন কথা হল সব স্মার্টফোনে তো আর টিমভিউয়ার সাফোর্ট করে না! তা ঠিক সাপোর্ট করে এই রকম একটা স্মার্টফোন কিন্তু থাকা লাগবে না হলে কিন্তু আমার টিউন পরে আপনি পরীক্ষা করতে পারবেন না আসলে এর গুরুত্ব কি! তবে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে যে, বর্তমানে বাংলাদেশ মোটামুটি কম মুল্যে একটা এন্ড্রয়েড ফোন হলেই চলবে! আর যাদের দামি দামি স্মার্টফোন আছে তাদের তো আর বলাই লাগবে না! আর এই স্মার্টফোন দিয়েই আপনি আপনার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
  • ফাইল ট্রানাস্ফার এর জন্যঃ আমরা এক সময় ফাইল ট্রান্সফার বলতেই ব্লুটুথ দিয়ে ট্রান্সফার করতে হবে এইটা বুঝে নিতাম। বর্তমানে আমরা যারা ল্যাপটপ অথবা এন্ড্রয়েড/উইন্ডোজ ফোন ইউস করি তারা হয়তে বুজে গেছেন আমি কিসের কথা বলেতে চাইছি! হ্যা তা হল ওয়াফাই এর মাধ্যমে ফাইল ট্রান্সফার! আর এই ট্রান্সফার কে আরো শক্তিশালি করার জন্য অনেক ডেভেলপার তৈরি করেছে সফটওয়ার। আমার থেকে যেটা সবচেয়ে ভাল লাগে তা হল ShareIT. এটা প্রায় সব ফ্লাটফর্মে চলে। আপনি চাইলে ডাউলোড করে নিতে পারেন এখান থেকে
    1. For PC/Laptop
    2. For Android
    3. Iphone
    এখন কথা হচ্ছে উপরে আমি যেগুলোর নাম বলেছি তা শুধুমাত্র আপনার পিসি/মোবাইল অথবা বন্ধুর মোবাইল/পিসি নির্দিষ্ট এরিয়া তে থাকলে আপনি ফাইল শেয়ার করতে পারবেন! তাহলে যখন বন্ধু আপনার কাছাকাছি থাকবে না বা আপনার পিসি/ল্যাপটপ আপনার কাছাকাছি থাকবেন তখন কি করবেন?? হ্যা, ঐ সময় আপনার সাথী/বন্ধু হিসেবে কাজ করবে টিমভিউয়ার! মানে আপনি চাইলে ফাইল ও শেয়ার করতে পারবেন! মানে যা ইচ্ছে তাই সবই আপনার হাতের মুঠোয়। কিন্তু একটা সমস্যা আছে তা হল ইন্টারনেট কানেকশন! ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া এতক্ষন যা বকবক করলাম একটা ও আপনার কাজে আসবে না! অতএব আগে ইন্টারনেট কানেকশন নিশ্চিত করতে হবে! যারা ব্রডব্যান্ড ইউস করেন বিশেষ করে তাদের জন্য এই টিউনটি কাজে আসবে আর যারা গুরুত্ব পুর্ন কাজ ইউস করবেন তাদের জন্য! আমি ব্রডব্যান্ড ইউস করি তাই আমার অনেক উপকারে আসে সেজন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম!
এই পরীক্ষা চালনা/ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বা যন্ত্রপাতি :P  
  • ইন্টারনেট কানেকশন
  • এক/একাধিক পিসি/ল্যাপটপ
  • মোবাইল একটা হলেই চলেবে! বেশি হলে ও সমস্যা নাই
  • টিমভিউয়ার সফটওয়ার। মোবাইল পিসি সবটাতে একটা একটা লাগবে!
  • এন্ড্রয়েডের জন্য এখনে ক্লিক করুন
  • আইফোনের জন্য এখানে ক্লিক করুন
  • উন্ডোজ পিসি / ল্যাপটপের জন্য এখানে ক্লিক করুন
  • উইন্ডোজ ফোনের জন্য এখানে ক্লিক করুন
তো চলুন এইবার একটা একটা দেখে নিই । একদম A থেকে Z পর্যন্ত মানে আমি যতটুকু জানি :P!
কিভাবে কানেক্ট করবঃ
আশা করি উপরের দেয়া লিংক থেকে প্রয়োজনীয় সফটওয়ার ডাউনলোড করে নিয়েছেন!
  • আপনার ফোনের টিমভিউয়ার ওপেন করুন ।
  • connect with teamviewer
  • আপনার পিসিতে টিমভিউয়ার ওপেন করুন। তারপর ইউসার আইডি আর পাসওয়ার্ড আপনার মোবাইলে টিমভিয়ারে দিয়ে কানেক্ট করুন। সব কিছু ঠিক মত করলে কানেক্ট হয়ে যাবে!
  • এইবার মজানেন ঘরে বসে অথবা বাইরে বসে! মানে রিমোট কন্ট্রোল করে।
এইতো গেল কানেকশন পর্ব এইবার আসিঃ
কিভাবে ইউস করবেনঃ
রিমোট কন্ট্রোলের জন্যঃ
উপরের নিয়মে কানেক্ট দিয়ে। ইচ্ছা মত ইউস করুন মানে প্লে, ডিলিট , সব কিছু করতে পারবেন । এখন যেহেতু শীতকাল তাই অনেকে পিসি অন করে ঘুমায় পরবেন আর উঠতে না চাইলেও সমস্যা নাই এখন আপনার হাতের কাছে আছে টিমভিউয়ার একটু লগিন করে সব কিছু কাজ সেরে নিতে পারবেন। চাইলে বন্ধ করে দিতে পারবেন মাগার অন করতে পারবেন না! কারন নেট কানেকশন ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না!
ফাইল শেয়ারিং এর জন্যঃ
আপনি এখন যেকোন ফাইল শেয়ার করতে পারবেন মুহুর্তেই। আর আপনি যদি একই সার্ভারে নেট ইউস করে থাকেন তাহলে পাবেন সুপার স্পীড!
file sharing
তো আজ এই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। আমি প্রায় আড়ায় বছর ধরে টেকটিউনসের মেম্বার কিন্তু নেটের অভাবে তেমন কিছুই লেখা হয় নি! আশা করি এখন থেকে নিয়মিত লিখতে পারব! কারণ এখন আমার ব্রডব্যান্ড কানেকশন আছে! যদিও নেটের টেনশন নাই কিন্তু বিলের টেনশন আছে!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় পাঠক, উক্ত লেখনীটি পঠন করার পরে দয়া করে আপনার একটি মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করুন। আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে অবশ্যই আরো ভালো কিছু লেখার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। লেখনী/পোস্টে অনেক ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আশা করি উক্ত ভুল গুলোকে আপনি ক্ষমার চোখে দেখবেন। দয়া করে এমন কোন মন্তব্য করবেন না যাহা দ্বারা লেখকের মন আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

 
Top