লেবু খাওয়ার পর এর খোসা সাধারণত ফেলেই দেয়া হয়। কিন্তু নিত্যদিন সংসারের বহু কাজে এর ব্যবহার জানলে আগের ফেলে দেয়া লেবুর খোসার জন্য হয়তো আফসোসই করবেন আপনি। লেবু বা এই গোত্রীয় ফল যেমন, কমলা, মাল্টা এগুলির খোসা ঘরের নানান কাজে ব্যবহার করা যায়।
পানি ফ্রিজে রাখার আগে তাতে ছোট্ট এক টুকরো লেবুর খোসা দিয়ে রাখুন। খাবার পানি হবে লেবুর সুগন্ধে সুবাসিত। ঠাণ্ডা এক গ্লাস পানিতে লেবুর ঘ্রাণ দূর করে দিবে শরীর ও মনের ক্লান্তি।
এক হাড়ি পানিতে লেবুর খোসা দিয়ে হালকা আঁচে চুলায় বসিয়ে রাখুন। সমস্ত বাড়িতে আলাদা করে এয়ার ফ্রেশনারের দরকার পড়বে না। লেবুর খোসাই আপনার ঘরে ছড়াবে প্রাকৃতিক সুগন্ধি। এছাড়া রান্নাঘরের চিনির কৌটায় রেখে দিতে পারেন এক টুকরো লেবুর খোসা। এর ফলে চিনি থাকবে একেবারে ঝরঝরে।
চিকেন রোস্ট রান্নার সময় খাবারে লেবুর সুঘ্রাণ পেতে দুই-এক টুকরো লেবুর খোসা দিতে পারেন। সুঘ্রাণের পাশাপাশি খাবারও হবে সুস্বাদু।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে জুড়ি নেই লেবু বা কমলার খোসার। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং কিছুক্ষণ পরপর সারাদিন লেবু বা কমলার খোসা চিবাতে পারেন। এতে যেমন আপনার মাড়ি ভালো থাকবে তেমনি নিঃশ্বাসে থাকবে প্রাকৃতিক সজীবতা।
আলমারি বা ওয়ারড্রবকে কীটপতঙ্গ থেকে মুক্ত রাখতেও লেবুর খোসার জুড়ি নেই। লেবুর শুকনো খোসা শুকিয়ে একটি ছোটো পলিপ্যাকে নিয়ে মোজা কিংবা অন্তর্বাসের ড্রয়ারে রেখে দিন। দুর্গন্ধ তো দূর হবেই, সাথে সাথে আপনার পোশাক হবে দারুণ সুরভিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় পাঠক, উক্ত লেখনীটি পঠন করার পরে দয়া করে আপনার একটি মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করুন। আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে অবশ্যই আরো ভালো কিছু লেখার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। লেখনী/পোস্টে অনেক ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আশা করি উক্ত ভুল গুলোকে আপনি ক্ষমার চোখে দেখবেন। দয়া করে এমন কোন মন্তব্য করবেন না যাহা দ্বারা লেখকের মন আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

 
Top