এসইও কি?
SEO মানে Search Engine Optimization। বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পেতে গুগলে সার্চ করে। গুগল তখন তার সার্চ রেজাল্ট পেজে অনেকগুলো সাইটের ফলাফল প্রদর্শন করে। কোনটি প্রথমে কোন ওয়েবসাইটের নাম হয়ত প্রদর্শন করে ২নং পেজে। যেটি প্রথমে দেখা যাচ্ছে সেটি প্রথমে দেখাচ্ছে কারন সেটিকে এসইও
করা হয়েছে। কোন ওয়েবসাইটকে সার্চের প্রথমে প্রদর্শন করার জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়, সেটিকে এসইও বলে। যখন আপনার ওয়েবসাইট সার্চের প্রথমে থাকবে তখন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পায়। আর ভিজিটর বৃদ্ধি হলে ইনকামও বৃদ্ধি পায়। ধরুন, আপনি গ্রাফিকস কোর্স করবেন, সেজন্য ট্রেনিং সেন্টার খুজছেন। তাহলে হয়ত আপনি গুগলে লিখবেন graphics training in Bangladesh। তখন সার্চের প্রথমে দেখবেন আমাদের ট্রেনিং সেন্টার ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের নাম। আর এটি দেখে হয়ত আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কেউ প্রবেশ করল, এরপর এখান থেকে তথ্য পেয়ে পছন্দ হলে এখানে এসে কোর্সে ভর্তি হয়। এটি হল এসইওর ফযিলত।
সার্চ ইঞ্জিন কী :
আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যেকোন বিষয়ের তথ্য জানতে হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি। তখন সারা বিশ্বের যত ওয়েবসাইটে এ ব্যপারে যেকোন তথ্য আছে, সব আমাদের সামনে চলে আসে। এ বিষয়গুলো জানার এসব উৎসকে সার্চ ইঞ্জিন (search engine) বলে। বিখ্যাত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম হলোঃ গুগল (google), ইয়াহু (yahoo),বিং(bing) ইত্যাদি।এই সব সাইটে আপনি একটি শব্দ সার্চ বক্সে লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করলে, কয়েক সেকেন্ড এর মধ্য অনেক ওয়েবসাইটের লিংক চলে আসে, যেসব লিংকে গেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে :
সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে, মানুষের তথ্য থুজে পাওয়ার জন্য। সেজন্য কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটির মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েভসাইটটি কেমন জনপ্রিয়। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে।সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ক্ষেত্রে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ :
ওয়েবসাইট তৈরি হয় কোম্পানীর পণ্যের প্রসারের জন্য। যতবেশি মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে, ততমানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে ধারণা পাবে। সার্চ ইঞ্জিন কোন একটি ওয়েভ সাইটে ভিজিটরের প্রধান উৎস। শতকরা ৮০% ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিন মাধ্যমে কোন ওয়েব সাইটে আসে। ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়বে। বিভিন্ন কারণে সার্চ ইঞ্জিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ক) যেকোন ওয়েবসাইটের বেশীর ভাগ ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে থেকে আসে। প্রতি মাসে প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন সার্চ হয়। United States এ এক জরিপে দেখা গেছে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন সার্চ হয়। (সূএ : com score.2008)
গ) অনেকে জানেনা তাদের প্রয়োজনীয় কোন তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে।সে জন্য তারা সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে সে বিষয় লিখে সার্চ করে। তখন প্রয়োজনীয় সাইটের লিস্ট তাদের কাছে চলে আসে।
ঘ) বিনামুল্যে যেকোন তথ্য খুজে পাওয়া যায়, সেজন্য সবাই এটি ব্যবহার করে।
ঙ) সকল তথ্যে বিশাল ভান্ডার হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। সেজন্য দিনে দিনে এটির উপর সবার নির্ভরশীলতা দিনে দিনে বাড়ছে।
চ) যেহেতু তথ্য খুজে পেতে সবাই সার্চইঞ্জিনের সাহায্য নিয়ে থাকে, সেজন্য সকল কোম্পানী তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চের প্রথমে তাদের কোম্পানীর ওয়েবসাইটকে রাখতে চায়।
জ) মার্কেটিংয়ের সনাতনী সকল পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল এবং বর্তমানযুগে কম কাযকরী। অন্যদিকে SEO তে খরচ কম কিন্তু আগের পদ্ধতির চাইতে কমপক্ষে ৬০ভাগ বেশি কাযকরী।
ক্যারিয়ার হিসাবে SEO :
বাংলাদেশে যারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করে তাদের বেশিরভাগ এসইও এর মাধ্যমে আয় করে। কারন বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি কম। সাধারণত যাদের কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারন ধারনা আছে, ইংরেজীতে মোটামুটি পারদর্শী, ওয়েবসাইট ভিজিট করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তারা অতি সহজে এসইও এর কাজে পারদর্শী হতে পারেন। কোন প্রোগ্রামিং ভাষা জানার তেমন দরকার নাই বিধায় এই কাজ অতি সহজে রপ্ত করে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় বলে বিশ্বব্যাপী এই কাজে নিয়োজিত আছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।১)বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে (odesk.com, freelancer.com ইত্যাদি)ভিজিট করলে দেখা যায়, এসইওর কাজ সবচাইতে বেশি।
২) নিজের একটি ব্লগ সাইটখুলে সেটিকে এসইও করে গুগলের প্রথমদিকে আনতে পারলে যদি ভিজিটর বৃদ্ধি পায় তাহলে অ্যাডসেন্স কিংবা এ ধরনের আরও অনেক বিজ্ঞাপনী সার্ভিসের মাধ্যমে ভাল আয় করা যায়। এপদ্ধতিতে সাধারণত মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ডলারের মত আয় করা যায়।
৩) অ্যাফিলিয়েশন্সের আয়ের জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচুর পরিমানে টার্গেটেড ভিজিটর। আর ভিজিটর আনতে হলে এসইও করতেই হবে। আউটসোর্সিংয়ের এ কাজের মাধ্যমে মাসে আয় করা যায় সাধারণত ৩০০ -২০০০ ডলার।
৪) এসইওর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথমে আনতে পারলে এবং ভিজিটর প্রচুর পরিমানে ওয়েবসাইটে আসলে বিভিন্ন লোকাল কোম্পানীর বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েভসাইটে ব্যবহার করে মাসে ৩০০০০ টাকা থেকে ৫লাখ টাকাও আয় করতে পারবেন। যেমন টেকটিউনসে কোন প্রকার অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা হয়না। এখানের আয় সম্পূর্ণ লোকাল বিজ্ঞাপন।
৫) এসইও শিখার আরও গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এসইও কোর্স একটি কিন্তু আয় করা সেক্টর অনেকগুলো। যেমনঃ ফোরাম টিউনিং কিংবা ব্লগ টিউমেন্টিং কিংবা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেংবা পুরো এসইও করে আয় করা যায়।
৬) প্রতিদিন মাত্র ২-৩ ঘন্টা সময় দিয়ে এসইও করা যায়। সেজন্য অন্য চাকুরী পাশাপাশি এটি শিখে আয় করা সম্ভব।
ফরেক্স ট্রেডিং
ফরেক্স ট্রেডিং নিয়ে আমার কিছু কথা, ১বছর আগেও টেকটিউস এবং বিভিন্ন সাইটগুলোতে ফরেক্স নিয়ে কোন টিউন দেয়া হলে সাথে সাথে মুছে ফেলা হত,সবার ধারনা ছিল ফরেক্স ট্রেডিং অবৈধ।কিন্তু এখন ফরেক্স এর স্পসর এডস ই বেশির ভাগ এই সব সাইটে।কারন ফরেক্স ট্রেডিং এর দিকে আস্তে আস্তে কম বেশি সবাই যুকে পড়ছে।খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলাদেশে।বাংলাদেশে এমনও ফরেক্স ট্রেডাররা আছেন যারা প্রতি মাসে ২থেকে ৩হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করেছে। কি মনে মনে হয়তো বলছেন আরে ভাই আর কত চাপা মারবেন?কিন্তু এটা আপনাদের ভুল ধারনা।আপনি কি ভেবেছেন সে ৫/৬মাস কাজ শিখেই প্রতি মাসে এত ডলার ইনকাম করেছে ? না ভাল ফরেক্স ট্রেডার হতে কমপক্ষে ২/৩বছর এবং তার অধিক সময় লাগে কারন মার্কেট প্রতিনিয়ত তার নতুন রুপ দেখায় এবং ট্রেডারগন সেইটা থেকেই নতুন কিছু শিখে।ফরেক্স কি? সফল ক্যারিয়ার গড়তে ফরেক্স
Forex হল Foreign Exchange এর সংক্ষিপ্ত রুপ। এটি একটি আন্তর্জাতিকবিকেনদ্রিক মুদ্রা বাজার। এই মার্কেটে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় এর মাধ্যমে আয় করা যায়। অর্থাৎ আপনি একটি দেশের মুদ্রার বিপরীতে আরেকটি দেশেরমুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আপনি যখন একটি দেশের মুদ্রা দিয়ে আরেকটি দেশের মুদ্রা ক্রয় করবেন সেই দেশের মুদ্রার দাম আপনার ক্রয়কৃত দামের ঊর্ধ্বগতিক পার্থক্যই হচ্ছে আপনার লাভ। এই বাজারটি এত বড় যা নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ মার্কেটের চেয়ে কয়েক গুন বেশি ভলিয়াম এ দেনিক ট্রেড হয়। যার দৈনিক টার্ন-অভার এর পরিমান প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ইউ.এস ডলার এরও বেশি। বর্তমানে বিশ্বের ১৫-২০ ভাগ মানুষ ফরেক্সকেপেশা হিসেবে নিয়েছেন কেউ পার্টটাইম কেউবা ফুলটাইম পেশা হিসেবে। মূলত ফরেক্সও একধরনের আউটসোরসিং বিজনেস। যেখানে প্রফিট করতে হয় একটি ভালো সুশিক্ষার মাধ্যমে। না জেনে না বুঝে এই মার্কেটে নেমে পড়া মানে হচ্ছে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা। প্রপার এডুকেশন ছাড়া আপনি এই মার্কেটে নিতান্তই একজন দর্শক। তাই ট্রেডার যদি হতে চান তাহলে আগে ভালোভাবে শিখে নিন তারপর শুরু করুন। ভয় কিংবা নেগেটিভ করছি না, কারন অল্প শিখে নেমে পড়ে যখন কোন কিছু বোঝার আগেই সব হারাবেন তখন হয়ত আপসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
ফরেক্স এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ ১৮৭৬ সালে স্বর্ণ ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা( gold exchange standard) চালু করা হয়েছিল।এই ব্যবস্থায় মুদ্রার মূল্যমান স্বর্ণের মানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। ফলে মোট স্বর্ণের মূল্যর সমপরিমাণ কাগুজে মুদ্রা কোন দেশের জন্য রাখা হত। এই পদ্ধতি বেশ ভালই ছিল। কিন্তু স্বর্ণ এর আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে এই পদ্ধতির ত্রুটি ধরা পরে এবং একে বিদায় নিতে হয়। এই স্বর্ণ ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা বাতিল করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর সময় যখন ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাদের বিশাল সব প্রকল্পগুলোকে বাস্তবায়িত করার মতো টাকা ছিলোনা। কারণ তাদের স্বর্ণের মজুদ ঐ পরিমাণ টাকা ছাপার জন্য খুবই অপ্রতুল ছিল। যদিও এই স্বর্ণ ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেছে, তবুও স্বর্ণ তার মূল্য এবং মুদ্রামানে নিজের অবস্থান ভালভাবেই ধরে রেখেছে।
পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয় যে, সকল মুদ্রার মান নির্দিষ্ট হবে এবং আমেরিকান ডলার হবে মুদ্রার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত ভিত্তি যা স্বর্ণ এর বিপরীতে একমাত্র পরিমাপকৃত মুদ্রা। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ব্রেটন উডস ব্যবস্থা ( Bretton Woods System) যা ১৯৪৪ সালে কার্যকর হয়। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয় যে তারা আর স্বর্ণের বিপরীতে ডলার এর বিনিময় এ আগ্রহী নয় যা বৈদেশিক সংরক্ষণ হিসেবে রাখা আছে। এর ফলে ব্রেটন উডস ব্যবস্থাও বাতিল হয়ে যায়।১৯৭৬ সালে এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয় যার মাধ্যমে মূলত সর্বসম্মতভাবে পরিবর্তনশীল মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল।এর মাধ্যমেই আধুনিক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের প্রবর্তন হয় যা ১৯৯০ সালের দিকে বর্তমান যান্ত্রিক ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার রূপ নেয়।
ফরেক্স ট্রেড এর সুবিধা কি?
অনন্য আর্থিক বাজার থেকে এই বাজারের কিছু বহুমুখী সুবিধা আছে।
১। আগের দিনে শুধুমাত্র বিশাল ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকারের আবির্ভাব ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারনে যে কেউই পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করতে পারে।
২। ফরেক্স ট্রেডিং আপনি বাসায় বসেই করতে পারবেন, বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর তাই পরিবারকে প্রচুর পরিমানে সময় দিতে পারবেন।
৩৷ ফরেক্স মার্কেট পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুদ্রা বাজার, এই বাজারে মুদ্রার দাম ভিবিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত নিজেই পরিবর্তন হয়৷ এই বাজারের মুদ্রার দামের উপর নির্ভর করে পৃথিবীর সব দেশের ব্যাংক সহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুদ্রার দাম।
৪৷ একক কারো প্রতিনিধিত্ব এই বাজারে কোন রুপ প্রতিফলন তৈরি করতে পারে না৷ স্বয়ং বিল গেটস এর পুরো অর্থের সামর্থ্য নাই এই বাজারকে পরিবর্তন করার৷
৫৷ ফরেক্স মার্কেটে মন্দা বলে কিছু নেই। দামের ঊর্ধ্বগতি বা নিম্নগতি উভয় গতিতে প্রফিট করা যায়। কারন স্টক মার্কেটে আপনি শুধু buy করতে পারেন, ফরেক্স মার্কেটে buy বা sell উভয়ই করতে পারবেন।
৬৷ এখানে মধ্য কোন স্বত্বাধিকারী নেই তাই আপনি সরাসরি কেনা-বেচা করতে পারবেন৷৫৷ এটি গ্লোবাল মার্কেট তাই আপনি বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে আপনার ট্রেড পরিচালনা করতে পারবেন।
৭৷ এটি একমাত্র বাজার যা সপ্তাহের সোম থেকে শুক্রুবার ২৪ ঘন্টায় খোলা থাকে চারটি ভিন্ন ভিন্ন সেশন এ৷ ফলে যে কোন পেশার মানুষ তাদের সুবিধা মত দিনে কিংবা রাতে যে কোন সময়ে ট্রেড করতে পারে৷ এবং শনি ও রবিবার এই মার্কেটের সকল লেনদেন বন্ধ থাকে বা ছুটি পালন করা হয়।
৮৷ এই মার্কেট এ আপনি স্বাধীন ইনভেস্টটর অর্থাr এই মার্কেটে সর্ব নিম্ন কিংবা সর্বচ্চ কোন ইনভেস্টমেন্ট বাধ্যবাদকতা নেই৷ ফলে আপনি আপনার সামর্থ্য মত যে কোন পরিমান ইনভেস্ট করে ট্রেড শুরু করতে পারেন।
৯৷ মূল ট্রেড শুরু করার পূর্বে আপনি ট্রেড করার জন্য প্রস্তুত কিনা সে প্রস্তুতিটা ও আপনি সেরে নিতে পারবেন ডেমো ট্রেড এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল মানি দিয়ে।
১০৷ এই বাজারে আপনি আপনার সীমিত টাকা দিয়ে বিশাল পরিধিতে ট্রেড করার জন্য লিভারেজ সুবিধা পাবেন।
১১৷ এটি একটি স্পট ট্রেড বা কন্টিনিয়াস ফ্লো মার্কেট যেখানে আপনাকে কোন শেয়ার ক্রয় করে তা বিক্রির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না৷ অর্থাr আপনি মুহূর্তের মধ্যে আপনার ট্রেড সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
১২৷ আপনার সকল লেনদেন আপনার ব্যক্তিগত একটি একাউন্ট এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে যেখানে অন্য কারো এক্সেস এর কোন সুযোগ নেই৷ তাই আপনি ১০০% সিকিউর।
১৩৷ আপনি আপনার ডিপোজিট বা ইউথড্র যে কোন আন্তর্জাতিক বৈধ মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি নিজেই করতে পারেন৷ কারো যদি আন্তর্জাতিক কোন মাধ্যম না থেকে সেই ক্ষেত্রে ব্রোকারদের পদত্ত ভিবিন্ন অপশনের মাধ্যমে ও সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, একজন দক্ষ ও সফল ট্রেডার হতে হলে আপনাকে ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে,নিজেকে এই মার্কেটের যোগ্য করে তুলতে হবে। ফরেক্স মার্কেট থেকে যে কেউই কোন কিছু না জেনেও হয়ত প্রথম দিকে অনেক আয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, ফরেক্স মার্কেট স্টক মার্কেটের মতই চ্যালেঞ্জিং। না জেনে হয়ত প্রাথমিকভাবে সফল হওয়া যাবে যেটা স্টক মার্কেটও অনেকে হয়। তবে দীর্ঘসময়ের জন্য টিকে থাকতে হলে ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
পেশা হিসেবে ফরেক্স ট্রেডিং
আপনি কেন ফরেক্স ট্রেডিং করেন? এর কারন হতে পারে কয়েকটি। ১ম কারণ, আপনি ঘরে বসে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন। ২য় কারণ, অন্যান্য অনলাইন বা অফলাইন জবের থেকে ফরেক্স ট্রেডিংয়ে ভাল করতে পারলে ইনকাম করার সুযোগ অনেক বেশি, ঝুকিপূর্ণও বটে। ৩য় কারণ, আপনার করার মত কোন কাজ নেই। আপনি অনলাইন থেকে কিছু আয় করতে চান। তাই চেষ্টা করে দেখছেন ফরেক্স ট্রেডিং করে কিছু কামানো যায় কিনা। এরকম আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে এগুলোই প্রধান কারণ।
আপাতদৃষ্টিতে ফরেক্স ট্রেডিং করে আয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আপনি কম ক্যাপিটাল দিয়েই অনেক বেশি আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন এখানে। হাই রিস্ক নিয়ে গ্যাম্বলিং করলে ১ সপ্তাহ যা কামানো সম্ভব, চাকরি করে ১ বছরে তা আয় করাও অনেকের জন্য দুঃসাধ্য। ফরেক্স মার্কেটে এসে অনেকেই ভাল প্রফিট করতে পারছেন কিংবা আপনার পরিচিতদেরকে দেখছেন ভাল প্রফিট করছে। যে কিনা নোকিয়া ১১০০ ব্যবহার করতো, সেও এখন হয়তো কিছু প্রফিট করে স্যামসাং গালাক্সি এস৪ কিনে ফেলেছে। তাই স্বভাবতই চিন্তা আসা স্বাভাবিক, আমি কি ফরেক্সকে আমার পেশা হিসেবে নিতে পারি?পেশা হিসেবে ফরেক্স ট্রেডিং
যেকোনো পেশাই অনেক কষ্টের। যে কিনা সারা শিক্ষাজীবন কখনো সকাল সকাল উঠে সময়মত ক্লাস ধরতে পারেনি, তাকেও ঠিকই সকাল ৭ টায় উঠে ফিটফাট তৈরি হয়ে অফিসে যেতে হয়। কেউবা আবার সবসময় ঢিলেঢালা হিপহপ জিন্স আর টি-শার্ট পরে অভ্যস্ত, তারও সবসময় চকচকে জুতা পরে, ইন করে অফিসে যেতে ভাল লাগার কথা না। ফরেক্স ট্রেডিংয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহের অন্যতম আরেকটি প্রধান কারন ঘরে বসে কাজ করবো। I am my own boss here. প্রেসার দেয়ার কেউ নেই। ফ্রি থাকলে ট্রেড করলাম, কাজ থাকলে ব্রেক নিলাম বা ঘুরতে গেলাম। সবচেয়ে আসল কথা সারাদিন বসে থাকার তো আর প্রয়োজন নেই। আর ভাল প্রফিট করতে পারলে অ্যামাউন্টটাও আকর্ষণীয় বটে। যদিও তা ক্যাপিটালের ওপর নির্ভর করে এবং সবাই তা করতে পারেও না। বেশিরভাগ ফরেক্স ট্রেডার ট্রেডিং করতে এসে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে আমাকে এটাই করতে হবে। এর জন্যই তো আমি জীবনভর অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু কয়েক মাস পেরোলে দেখা যায় তাদের মধ্যে খুব কম ট্রেডারই টিকে থাকতে পেরেছে বা এখনও ফরেক্স ট্রেডিং চালিয়ে যেতে পারছে। অনেকে হাল ছেড়ে দেয়, অনেকের বা ইচ্ছা থাকে, কিন্তু সামর্থ্যে বা সময়ে কুলায় না।পেশাজীবীদের জন্য ফরেক্স ট্রেডিং
ধরুন আপনি জব করছেন, কিংবা ব্যবসা করছেন। অথবা কিছুই করছেন না, বেকার বসে আছেন। ফরেক্স নিয়ে পড়াশোনা করে ভাবছেন ফরেক্স ট্রেডিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিবেন কিনা। এই সিদ্ধান্তটি নেয়া এই পর্যায়ের মানুষগুলোর জন্য কঠিন।ফরেক্স ট্রেডিং সবসময় ঝুকিপূর্ণ। আপনি যতই ভাল ওস্তাদ ট্রেডার হন না কেন, লস আপনি এড়িয়ে চলতে পারবেন না। ফরেক্সে সবসময় লাভ হবে এমন কোন কথা নেই। একজন ভাল ট্রেডাররেরও খারাপ সময় যেতে পারে এবং সেটা খুব স্বাভাবিক। বরং সবসময় যদি লাভই করে যায় সেটাই অস্বাভাবিক। যদি আপনি ফরেক্সকেই মূল পেশা হিসেবে বেছে নেন, আর কোন কাজ করা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন, তবে লসের সময়টাতে আপনি কি করবেন? ধরুন কোন কারণে আপনি টানা ৩ মাস লসে। ফ্যামিলি চালাবেন কি দিয়ে? তখন টেনশনে পরে যাবেন। মনে হবে লস যত দ্রুত সম্ভব রিকভার করতেই হবে। এই প্রেসারে দিয়ে বসবেন আরও বড় লটে রিস্কি ট্রেড। ফলাফল হয় লস রিকভার বা আর বেশি লস বা অ্যাকাউন্ট জিরো।
তবে কি ফরেক্সকে পেশা হিসেবে নিবো না
ফরেক্স ট্রেডিংকে যদি আমরা প্রথমেই পেশা হিসেবে নিয়ে নেই তবে এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে কি আমরা ফরেক্সকে পেশা হিসেবে নেবো না? হ্যাঁ। তবে যদি আমরা সিরিয়াসলি ফরেক্সকে পেশা হিসেবে নিতে চাই, তার সাথে আমাদের আরেকটি ব্যাকআপ জব বা বিজনেস থাকা উচিত। যাতে লস হলেও আমাদের টেনশনে পড়তে না হয়। আপনি আপনার ব্যাকআপ কাজের আয় দিয়ে আপাতত খরচ চালিয়ে যেতে পারেন। সর্বোপরি আপনি যদি ভাল মানসিক অবস্থা বজায় রেখে ট্রেড করে যেতে চান, তবে আপনার ব্যাকআপ জব/বিজনেস থাকা জরুরি। ফরেক্স ট্রেডিংকে এমন ভাবেই চালিয়ে যাওয়া উচিত যে আপনি এর ওপর সরাসরি নির্ভরশীল নন। কিন্তু ফরেক্স থেকে প্রফিট আপনার লাইফস্টাইলকে উন্নত করবে। অবশ্য হ্যাঁ যদি আপনি ভাল পরিমান প্রফিট করেই বসেন, তখন সেটাই আপনার ব্যাকআপ হিসেবে থাকবে। আপনি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখতে পারেন তখন অথবা ব্যবসায়ে অংশীদার হতে পারেন। তখন আপনি ফরেক্সকে পুরোপুরি প্রফেশন হিসেবে নিয়ে নিতে পারেন। তবে তা কয়েক বছরের মধ্যে নয় অবশ্যই।সামাজিক মর্যাদা
আমাদের সমাজে সামাজিক মর্যাদা বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যখন আপনাকে প্রশ্ন করবে আপনি কি করেন? আপনি কি উত্তর দিবেন? ফরেক্স ট্রেডিং করেন? ফরেক্স কি? কারা করে? আজকাল ফরেক্সে কেমন লাভ হচ্ছে, পড়বেন হাজারটা প্রশ্নের মুখে। কেউ কেউ বুঝবে, আর কেউ তো কিছুই বুঝবে না, ভাববে নিশ্চয়ই ডুল্যান্সার টাইপ কিছু করেন অনলাইনে। তাই সোস্যাল স্ট্যাটাসের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সবাই যখন দেখবে আপনি একটি ভাল কোন কাজে রয়েছেন, তখন পাশাপাশি আপনার ফরেক্স পেশার মূল্যায়নও হবে কারন যে ভাল জব বা বিজনেস করছে, ষে নিশ্চয়ই খারাপ কোন কাজে নেই।আপনি ভাবতেই পারেন মানুষ কি ভাবলো তাতে কি? মানুষ আমাকে খাওয়ায় না পড়ায়? তবুও সবসময় একদম অনলাইন নির্ভর হওয়া ঠিক নয়। অফলাইন জগতেও নিজের অস্তিত্ব রাখা জরুরী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, উক্ত লেখনীটি পঠন করার পরে দয়া করে আপনার একটি মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করুন। আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে অবশ্যই আরো ভালো কিছু লেখার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। লেখনী/পোস্টে অনেক ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আশা করি উক্ত ভুল গুলোকে আপনি ক্ষমার চোখে দেখবেন। দয়া করে এমন কোন মন্তব্য করবেন না যাহা দ্বারা লেখকের মন আঘাতপ্রাপ্ত হয়।